শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালু গোদাগাড়ীতে মজুত করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দৌঁড়-ঝাঁপ গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার!
রাবির উর্দু বিভাগে তালা দিলেন শিক্ষার্থীরা, সমাধান না হলে আমরণ অনশনে যাওয়ার হুমকি

রাবির উর্দু বিভাগে তালা দিলেন শিক্ষার্থীরা, সমাধান না হলে আমরণ অনশনে যাওয়ার হুমকি

রাবির উর্দু বিভাগে তালা দিলেন শিক্ষার্থীরা, সমাধান না হলে আমরণ অনশনে যাওয়ার হুমকি
রাবির উর্দু বিভাগ

আল্-মারুফ, রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উর্দু বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টার পরীক্ষায় ফল বিপর্যয়ের অভিযোগ ওঠার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে বসে ফের বিভাগে তালা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। দ্রুত সমাধান না পেলে আমরণ অনশনে যাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন তারা।

রোববার (২৮ আগস্ট) বেলা ১১টায় বিভাগের অফিসসহ সব রুমে তালা লাগিয়ে অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতিবাদ জানাতে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের। দুপুরে বিভাগে সংবাদ সম্মেলন করে তারা বলেন, ‘শিক্ষকদের অভ্যন্তরীণ ও রাজনৈতিক কোন্দলের কারণে ইচ্ছা করেই এমন ফল বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। বিভাগের কতিপয় শিক্ষকদের মাধ্যমে আমরা প্রতিনিয়ত মানসিক হয়রানি হচ্ছি। আমরা আজকে মাননীয় উপাচার্য স্যারের সাথে বসেছি, তাকে সব কিছু অবগত করার পর তিনি সব শুনেছেন, আমাদের কাছ থেকে ২সপ্তাহ সময় নিয়েছেন। আমরা সময় দিয়েছি, এর মধ্যে আমাদের সমস্যা সমাধান না হলে আমরা আমরণ অনশনে যাবো। আমরা আমাদের সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত বিভাগের সকল ক্লাস, পরীক্ষা এবং কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

ফল বিপর্যয়ে ভুক্তভোগী উর্দু বিভাগের শিক্ষার্থী সুরাইয়া আক্তার বলেন, ‌‘শিক্ষকরা আমাদের ক্লাসেই হুমকি দিতেন। বলতেন, তোমরা কীভাবে ভালো রেজাল্ট করো আমি দেখে নেবো। ওপর তলা থেকে তোমাদের নিচতলায় নামিয়ে দেবো। আমরা একটা ফরেন ভাষা উর্দু বিভাগে পড়ি। তাই আমাদের অনেক সমস্যা থাকতে পারে। এই সমস্যা নিয়ে বড় ভাই বা আপুদের কাছে গেলেও তারা (শিক্ষকরা) আমাদের হুমকি-ধমকি দেন।’

একই বিভাগের মাস্টার্সের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের আগের ব্যাচগুলো যে প্রবলেম ফেস করেছে আমরাও একই প্রবলেম ফেস করেছি। শিক্ষকদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের প্রভাব শিক্ষার্থীদের ফলাফলের ওপর পড়ে। বিভাগের বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ এবং ব্যক্তিগত চলাফেরা নিয়েও শিক্ষার্থীদের মানসিক হয়রানি করা হয়, যার সবশেষ প্রভাব ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ফলাফলে আমরা দেখতে পাই। এটা আসলে মেনে নেয়া যায় না।’

শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো: আতাউর রহমান বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা আজ উপাচার্য বরাবর দরখাস্ত দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের যে বিধি আছে আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো।’

উর্দু বিভাগে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ৩৫ জন নিয়মিত ও তিনজন অনিয়মিত শিক্ষার্থী রয়েছেন। তারা প্রত্যেকেই প্রথম সেমিস্টারে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। গত ১৪ এপ্রিল শুরু হয়ে ২১ এপ্রিল তাদের প্রথম বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টার পরীক্ষা শেষ হয়।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে তাদের ফল প্রকাশ হয়। তবে দ্বিতীয় সেমিস্টারে ৩৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিলেও ৩০ জনের ফল প্রকাশিত হয়। ছয়জন নিয়মিত ও দুজন অনিয়মিত শিক্ষার্থীর ফল প্রকাশিত হয়নি। ছয়জনের একটি করে কোর্সে ফেল দেখানো হয়েছে। সেদিন দুপুরেই বিভাগে তালা ঝুলিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করেন।

 

মতিহার বার্তা /এএম

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply